“নিস্পাপ খুন”
রচনাঃ রেহমান রাহাত
সকাল ১০টা বাজে।
শুক্রবার দিনটা আকাশের জন্য একটু দেরিতেই শুরু হয়।টানা ছয় দিন ছয়টায় উঠে উঠে ক্লান্ত হওয়ার পর একদিন দশটায় না উঠলে যেন ছুটির দিনটাই বৃথা যায়।
দুধওয়ালা এসেছে।ব্যাটা আসলেই একটা ফাজিল।নিজের বাড়িতে কলিংবেল নেই।তাই মনের ইচ্ছা মতো কলিংবেল বাজায়।কলিং বেলের এমন বিশ্রি শব্দে বিছানা থেকে উঠে সোজা দরজার কাছে গিয়ে দরজা খোলে আকাশ,
দরজা খুলতেই দুধওয়ালা বক্তব্য,“স্যার দুধ!”
“সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি,তুমি তো আর দই নিয়ে আসবে না যে নতুন করে বলার দরকার আছে!” আকাশ উত্তর দেয়।
- “স্যার যে কি বলেন!”দুধওয়ালা আহ্লাদে বলছে।
-“তোমাকে না কতদিন বলেছি এভাবে বেল দেবে না।আর এত দেড়ি করেছো কেন?তোমার তো সাতটায় আসার কথা”
-“স্যার,আমার পোয়াতি গাইডা অসুস্থ তো তাই দেড়ি হইছে,তাছাড়া আমি জানি আইজ আপনে বাসায় আছেন।”
-“এমন ভাবে বলছো মনে হচ্ছে তোমার পোয়াতি গাই না পোয়াতি বউ অসুস্থ”
-“স্যার যে কি কন!”
-“আচ্ছা ঠিক আছে যাও,আর কাল থেকে সকাল সকাল চলে আসবে।”
-“জ্বী আচ্ছা স্যার”
দুধ ওয়ালা চলে যেতেই আকাশ দরজা লাগায়।দরজা লাগিয়ে ঘুরে নিজর ফ্ল্যাটটার দিকে তাকায়।তিন রুমের ফ্লাট।ঢাকা শহরে একা ব্যচেলর মানুষ ভাড়া থাকা যে কি দুসাধ্য তা ব্যাচেলর বেচারারাই জানে।তবুও ধানমন্ডিতে মামার জোরে এই ফ্ল্যাট।ড্রয়িং রুমটা পুরোই আগোছালো।গতসপ্তাহে বন্ধুরা এসে ড্রয়িং রুমে পাকিস্তান ইন্ডিয়ার খেলা দেখেছিল আর সাথে কে.এফ.সি’র ফ্রাইড চিকেন খেয়েছিল।এখনও তার প্যাকেট গুলো সোফার উপর।ডাইনিং এর অবস্থা আরো করুন,সব ময়লার স্তরে স্তরে ভরপুর।আর কয়েক বছর এভাবে থাকলে নিশ্চিত খনিজ পদার্থের জন্য ওর বাসায়ই যথেস্ট।পুরো ফ্লাটে শুধু নিজের ঘরটা আর রান্না
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন